Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

দর্শনীয় স্থানসমূহ

 

ক্রমিক

নাম

কিভাবে যাওয়া যায়

অবস্থান

নিঝুম দ্বীপ

নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে প্রথমে সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড যেতে হবে। সেখান থেকে চেয়ারম্যান ঘাট গামী যেকোন লোকাল বাস সার্ভিস/ সিএনজি অটোরিক্সা যোগে চেয়ারম্যান ঘাটে নামতে হবে। অতঃপর সীট্রাক/লঞ্চ সার্ভিসে নলচিরা ঘাটে নেমে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে জাহাজমারা ঘাটে গিয়ে নৌকাযোগে জাহাজমারা চ্যানেল পার হয়ে নিঝুম দ্বীপ পৌঁছা যাবে।

 

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর

নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে সোনাইমুড়ী গামী যেকোন লোকাল বাস সার্ভিস/ সিএনজি অটোরিক্সা যোগে নেমে রিক্সা বা পায়ে হেঁটে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতিজাদুঘরে পৌঁছা যাবে।

 

গান্ধী আশ্রম

নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে সোনাইমুড়ী গামী যেকোন লোকাল বাস সার্ভিস/ সিএনজি অটোরিক্সা যোগে সম্মুখে জয়াগ বাজার নেমে রিক্সা বা পায়ে হেঁটে আধা কিলোমিটার পুর্বে গেলে গান্ধী আশ্রমে পৌঁছা

যাবে।

 

বজরা শাহী জামে মসজিদ

নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে সোনাইমুড়ী গামী যেকোন লোকাল বাস সার্ভিস/ সিএনজি অটোরিক্সাযোগে বজরা হাসপাতালের সম্মুখে নেমে রিক্সা বা পায়ে হেঁটে ২০০ গজ পশ্চিমে গেলে বজরা শাহী মসজিদে পৌঁছা যাবে।

 
মুছাপুর ক্লোজার সবুজ শ্যামল প্রকৃতি, নিবিড় বন, গ্রামীণ পরিবেশ, পাখির কোলাহল, বন্যপ্রাণি, ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ক্লোজার, ২৩ ভেন্ট রেগুলেটর, মৎস্যজীবী মানুষ উচ্ছ্বাস আর নদীর ছল ছল বিশাল জলরাশি নিয়ে এক অন্য রকম আবহ তৈরি করেছে মুছাপুর ক্লোজার। পানির ছল ছল শব্দ আর বিশাল আকাশের নিচে অবারিত নির্মল বাতাস আর সবুজ বনানী আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে বঙ্গোপসাগরের কুল ঘেঁষে ফেনী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই ক্লোজার। প্রথম দেখাতে মনে হবে সৈকত। কিছুক্ষণ পরে ভুল ভাঙবে। খুঁজে পাবেন নদীপাড়ে সাগরের আবহ। দেখতে সমুদ্র সৈকতের মত এই নদীপাড় স্থানীয়দের কাছে ‘মিনি কক্সবাজার হিসেবেও পরিচিত। প্রতিদিনই অসংখ্য দর্শনার্থী এই ক্লোজারের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে আসে।মুছাপুরের ফেনী নদীর তীরে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই ক্লোজার। ২০০৯ সাল থেকে কয়েক দফা বাজেট বরাদ্দ দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের চেষ্টায় ক্লোজারটি নির্মাণ করা হয়।১৯৬৯ সালে এখানে বনবিভাগ বনায়ন শুরু করে। মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় চরের মধ্যে দক্ষিণ মুছাপুর মৌজায় ৮২১.৫৭ একর, চরবালুয়া (দিয়ারা) মৌজায় ১৮৬১.১০ একর ও চরবালুয়া মৌজায় ৬০০.১৫ একর সর্বমোট ৩২০০.৮২ একর বনবিভাগের জমি জুড়ে এই বনাঞ্চল।এখানকার বাগানে ঝাউ, কেওড়া, পিটালী, খেজুর, লতাবল, গেওয়া, শনবলই, বাবুলনাটাই, আকাশমনিসহ বিভিন্ন ছোট প্রজাতির গাছও রয়েছে। রয়েছে শিয়াল, বন বিড়াল, সাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। শীতের মৌসুমে সাইবেরিয়া থেকে আসা অতিথি পাখিদেরও দেখা যায় এখানে।বনের সরু রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে একটু ভেতরে প্রবেশ করলে পাবেন শীতল ছায়া ও কোথাও কোথাও বিশাল খোলা জায়গা। তার পাশেই দেখা যাবে দিগন্তজোড়া সৈকতের অপার মাধুর্য।এখানে চারপাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন রকমের বনজ গাছ। বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কোলাহল, বিশাল সমুদ্র সৈকত। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্যের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। রয়েছে ট্রলারে কিংবা স্পিডবোটে করে চরে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ।  
কমলার দীঘি

হাতিয়ার মূল ভূখন্ডের মানুষ ঘুরাঘুরি বা অবসর সময় কাটানোর জন্য সবচেয়ে বেশি যে জায়গায় ভ্রমন করে তা হলো কাজির বাজার এলাকার কমলার দীঘি। অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ জায়গাটির এক পার্শ্বে রয়েছে ম্যানগ্রোভ বন, আরেক পার্শ্বে রয়েছে ঝাউবন, সুবিশাল মাঠ, বনভূমি এবং অন্য পার্শ্বে রয়েছে সুবিশাল সমুদ্র। জোয়ারের সময় এখন থেকে উপভোগ করা যাবে সমুদ্রের গর্জন আর ভাটার সময় বিস্তৃর্ণ বালিরাশি ও সমূদ্রের সৌন্দর্য। তাছাড়া এখান থেকে সমুদ্র চলমান শত শত জাহাজের সারি দেখা যায়। সূর্যাস্তের সময় কমলার দিঘির চোখ ধাধানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শরীর ও মন জুড়ানো শীতল বাতাসের কারণে প্রতিদিন এখানে এ এলাকার লোকজনের ভিড় জমে। শীতকালে প্রায় প্রতিদিন এখানে হাতিয়ার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবারের লোকজন পিকনিক করতে আসে। তাছাড়া বছরের যে কোন সময় এ জায়গাটিতে ভ্রমন করা যায় এবং এর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ওসখালী বাজার থেকে মোটর সাইকেল বা সিএনজি যোগে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই কমলার দীঘিতে পোঁছানো যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই বীচ সংলগ্ন বাগানগুলোতে শিয়ালের হাক ডাক সৃষ্টি  করে সুমিষ্ট সুরের লহরী।

 

ঐতিহাসিক 

কেশারপাড় দীঘি

এটি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলাধীন ০২নং কেশারপাড় ইউনিয়নে অবস্থিত। বর্তমানে এই দিঘীর মোট আয়তন ২৫ একর। এই দিঘীর নামে কেশারপাড় গ্রামটির নামকরণ করা হয়। এ দিঘীর সঠিক উৎপত্তির সন এখনো অজানা। বলা হয়ে থাকে যে, লাকসাম-দৌলতগঞ্জের জমিদার আউয়ুব আলী চৌধুরী ও কল্যান্দী হেম বাবু জমিদার এ দুই জমিদারের অধীনে এ দিঘী ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত অনাবাদি জমি ছিল। ১৯৩৮ সালে এ দিঘীর মাটি কেটে পরিস্কার করে মাছ চাষ শুরু করা হয়। ২০০০ সালের পর থেকে প্রতি বছর এ ঐতিহাসিক দিঘীতে ছিপ দিয়ে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে সৌখিন মৎস্য শিকারীগণের মিলন মেলায় পরিণত হয়। এ মৎস্য শিকারকে কেন্দ্র করে দিঘীর চারপাশে মেলার আয়োজন হয় এবং উৎসবমূখর পরিবেশ তৈরি হয়। নোয়াখালী সদর থেকে উত্তরে ২৫ কিলোমিটার এবং সেনবাগ থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পার্শ্বে দিঘীটি অবস্থিত। ঢাকা হতে প্রাইভেট কার বা মাইক্রো এবং ঢাকা হতে সোনামুড়ি চৌরাস্তায় নেমে সিএনজি যোগে যাতায়াত করা যায়।  
কালের সাক্ষী কল্যান্দি জমিদার বাড়ী নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলাধীন কল্যান্দি গ্রামে রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ীটি অবস্থিত। এই জমিদার বাড়ীর বংশধর দীনেশ রায় চৌধুরীর সাথে কথা বলে জানা যায় প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে রামেন্দ্র রায় চৌধুরী ও কাঙ্গালী রায় চৌধুরী প্রায় ২০ একর জায়গাজুড়ে এই জমিদার বাড়ী প্রতিষ্ঠা করেন। প্রজা হিতৈষী জমিদার জনকল্যাণে মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল স্কুল, হরিহর চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি, হরি মন্দির, দোল মন্দির, তুলসী মন্দির, শাহজীর হাট, কল্যান্দি বাজার, বৈরাগীর হাট, ছমির মুন্সিরহাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করেন। নদী গর্বে বিলীন নোয়াখালী পুরাণ শহরে স্থাপন করেছিলেন রামেন্দ্র ছাপাখানা। বর্তমানে জমিদারী না থাকলেও কালের সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে এ সকল ঐতিহাসিক স্থাপনা। জমিদার বাড়ীর জরাজীর্ণ ভবন দেখার জন্য এখনও পর্যটকদের এ জমিদার বাড়ীতে সমাগম হয়।   
নলচিরা ঘাট নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ার মূল ভূখন্ডে প্রবেশের প্রধান পথ নলচিরা ঘাট । মাইজদী নোয়াখালী হতে বাস, সিএনজি, প্রাইভেট কার ইত্যাদি যোগে রওনা হলে ১ ঘন্টা থেকে ১.৩০ ঘন্টা পর বয়ারচরের চেয়ারম্যানঘাট পোঁছা যায়। সেখান থেকে সী-ট্রাক, ইঞ্জীন চালিত ট্রলার এবং স্পীড বোট যোগে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার নলচিরা ঘাটে পৌঁছানো যায়। নলচিরা ঘাট থেকে নামার জন্য রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র পন্টুন। এ ঘাটে নদী ভাঙ্গন রোধে দেয়া হয়েছে জিও ব্যাগের বাঁধ যার উপর বসে মেঘনা নদীর নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করা যায়।