Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে নোয়াখালী

নোয়াখালী জেলার সার্বিক তথ্য

[Overall Information of Noakhali District]

 

১. আয়তন ও অবস্থান:

নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন ৪২০২.৭০ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২০০৭' থেকে ২৩০০৮' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০০৫৩' থেকে ৯১০২৭' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে নোয়াখালী জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৭১ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার। এ জেলার পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা ও ফেনী জেলা, উত্তরে কুমিল্লা জেলা, পশ্চিমে  লক্ষ্মীপুর জেলা ও ভোলা জেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।

 

২. ইতিহাস

২.১) প্রতিষ্ঠাকাল:

বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত। ১৭৭২ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস এদেশে প্রথম আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রচেষ্টা নেন। তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ১৯টি জেলায় বিভক্ত করে প্রতি জেলায় একজন করে কালেক্টর নিয়োগ করেন। এ ১৯টি জেলার একটি ছিল কলিন্দা। এ জেলাটি গঠিত হয়েছিল মূলতঃ নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে। কিন্ত ১৭৭৩ সালে জেলা প্রথা প্রত্যাহার করা হয় এবং প্রদেশ প্রথা প্রবর্তন করে জেলাগুলোকে করা হয় প্রদেশের অধীনস্থ অফিস। ১৭৮৭ সালে পুনরায় জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং এবার সমগ্র বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। এ ১৪টির মধ্যেও ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৎকালে শাহবাজপুর, হাতিয়া, নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, ত্রিপুরার কিছু অংশ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও মীরসরাই নিয়ে ছিল ভুলুয়া পরগনা।১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬৮ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়

 

২.২) নামকরণ:

নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ছিল ভুলুয়া। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম সুধারাম। ইতিহাসবিদদের মতে একবার ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর পানিতে ভুলুয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয় ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসাবে ১৬৬০ সালে একটি বিশাল খাল খনন করা হয়,যা পানির প্রবাহকে ডাকাতিয়া নদী হতে রামগঞ্জ, সোনাইমুড়ি ও চৌমুহনী হয়ে মেঘনা এবং ফেনী নদীর দিকে প্রবাহিত করে। এই বিশাল নতুন খালকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় নোয়া (নতুন) খাল বলা হত, এর ফলে অঞ্চলটি একসময়ে লোকের মুখেমুখে পরিবর্তিত হয়ে নোয়াখালী হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে।

 

২.৩) সাধারণ ইতিহাস:

১৮৩০ সালে নোয়াখালীর জনগণের ওয়াহিবী আন্দোলন ও ১৯২০ সালের খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ নোয়াখালীর ইতিহাসের অন্যতম ঘটনা। ১৯৪৬ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে নোয়াখালীর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর মর্মান্তিক নিপীড়িন, গণহত্যা শুরু হয়, যা নোয়াখালী দাঙ্গা নামে পরিচিত। এই সময় মহাত্মা গান্ধী দাঙ্গা পরবর্তী পরিস্থিতি সরজমিনে দেখার জন্য নোয়াখালী জেলা ভ্রমণ করেন। বর্তমানে সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ নামক স্থানে গান্ধীজির নামে একটি আশ্রম রয়েছে, যা গান্ধী আশ্রম নামে পরিচিত। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অর্ন্তভূক্ত একটি বিশাল জেলা  হিসেবে পরিচালনা হয়ে আসছিল। ১৯৮৪ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হলে লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা আলাদা হয়ে যায়। শুধুমাত্র নোয়াখালী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা পুনর্গঠিত হয়। তখন এ জেলায় উপজেলা ছিল ছয়টি। পরবর্তীতে আরো তিনটি উপজেলার সৃষ্টি করা হয়। হাতিয়া উপজেলার কিছু অংশ জেলার মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত থাকলেও বৃহত্তর অংশ (মূল হাতিয়া) এর চতুর্দিকে মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা।

 

২.৪)  নোয়াখালীর শহর:

নোয়াখালী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার নিজ নামে কোন শহর নেই। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে যখন উপজেলা সদর দপ্তর মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়, তখন তা ৮ কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে ১৯৫০ সালে জেলার সদর দপ্তর অস্থায়ীভাবে মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়। ব্রিটিশদের পরিকল্পনায় নতুন করে এ শহরের পত্তন হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিল তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয় এবং ১৯৫৩ সালে শহরের পুরনো এলাকা কালিতারা, সোনাপুর ও মাইজদীসহ কাদির হানিফ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী পৌর এলাকা ঘোষণা করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোল একর জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে। সে দীঘির চতুর্দিকে চক্রাকারে বানানো হয় ইট সুরকীর রাস্তা। সে রাস্তাকে ঘিরে বাংলো আকৃতিতে তৈরী হয় সরকারি সব দপ্তর। এই দীঘিটি ব্যবহৃত হত মূলতঃ শহরের জলাধার হিসেবে, দীঘিতে পাম্প লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালত এবং আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ করা হত। মাইজদী শহর স্থানান্তর করলেও সুদীর্ঘ প্রায় একযুগ পর্যন্ত মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার সদরদপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত অবস্থায় ছিল। অবশেষে ১৯৬২ সালে মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার স্থায়ী সদর দপ্তর হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। চৌমুহনী নোয়াখালীর আরেকটি ব্যস্ত শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র, যা একসময়ে মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল।

 

২.৫) মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি:

১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাকবাহিনী নোয়াখালী সদর উপজেলায় প্রবেশ করে। ১১ মে পাকবাহিনী হাতিয়া শহর আক্রমণ করে। তারা এ উপজেলার আফাজিয়া বাজারে ৬ জনকে এবং ওছখালি বাজারে ২ জনকে গুলি করে হত্যা করে। ১৫ জুন জেলার সোনাপুর আহমদিয়া মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৮ জুন পাকবাহিনী সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকার শ্রীপুর গ্রামে ৭০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ২ জুলাই মুক্তিযোদ্ধারা বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। ১৯ আগস্ট পাকবাহিনী বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াহাট বাজারে মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোককে হত্যা করে। ৪ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাঞ্ছারাম রোডের স্লুইসগেটের পূর্বপাশে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সঙ্গে ক্তিযোদ্ধাদের এক লড়াইয়ে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরবর্তীতে এ উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি খণ্ড লড়াইয়ে সদর বিএলএফ কমান্ডার অহিদুর রহমান অদুদসহ ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৭ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা কবিরহাট উপজেলার রাজাকার জলিলের বাড়িতে হামলা করলে জলিলসহ তার কয়েকজন সহযোগী নিহত হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা সেনবাগ উপজেলার ডোমনাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত পাকবাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করে। উক্ত লড়াইয়ে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। নোয়াখালী জেলা স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর।

 

মোহাম্মদ রুহুল আমিন (১৯৩৫ - ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১):

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এর মধ্যে একজন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম। মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার বাঘপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে রুহুল  আমিন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন৷ একদিন সবার অলক্ষ্যে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে পড়েন নৌঘাঁটি থেকে৷ পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে তিনি চলে যান ত্রিপুরা৷ যোগ দেন ২ নং সেক্টরে৷ মেজর শফিউল্লাহের নেতৃত্বে ২ নং সেক্টরে তিনি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ।

 

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন-

গণকবর: ১টি (কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৪নং স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকা)

স্মৃতিস্তম্ভ: ৩টি (বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী, সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর এবং নোয়াখালী জেলা সদরের পিটিআই প্রাঙ্গণ)

বধ্যভূমি: ১টি (কবিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের ডোবা)

 

৩. প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:

নোয়াখালী জেলা ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ৯৩টি ইউনিয়ন, ৮৮২টি মৌজা, ৯৬৭টি গ্রাম ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।

৩.১) উপজেলা: নোয়াখালী জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলো-

 

ক্র.

উপজেলা

আয়তন
(বর্গ কি.মি)

প্রশাসনিক থানা

আওতাধীন এলাকাসমূহ

 
 

কবিরহাট

১৮৯.৯৪

কবিরহাট

পৌরসভা (১টি): কবিরহাট

 

ইউনিয়ন (৭টি): নরোত্তমপুর, সুন্দলপুর, ধানসিঁড়ি, ঘোষবাগ, চাপরাশিরহাট, ধানশালিক এবংবাটইয়া

 

কোম্পানীগঞ্জ

৩০৫.৩৩

কোম্পানীগঞ্জ

পৌরসভা (১টি): বসুরহাট

 

ইউনিয়ন (৮টি): সিরাজপুর, চর পার্বতী, চর হাজারী, চরকাঁকড়া, চর ফকিরা, রামপুর, মুছাপুর এবং চরএলাহী

 

চাটখিল

১৩৩.৮৯

চাটখিল

পৌরসভা (১টি): চাটখিল

 

ইউনিয়ন (৯টি): সাহাপুর, রামনারায়ণপুর, পরকোট, বদলকোট, মোহাম্মদপুর, পাঁচগাঁও, হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ, নোয়াখলা এবং খিলপাড়া

 

নোয়াখালী সদর

৫৫২.৪৬

সুধারাম

পৌরসভা (১টি): নোয়াখালী

 

ইউনিয়ন (১৩টি): চরমটুয়া, দাদপু্র, নোয়ান্নই, কাদিরহানিফ, বিনোদপুর, নোয়াখালী, ধর্মপুর, এওজবালিয়া, কালাদরপ, অশ্বদিয়া, নিয়াজপুর, পূর্ব চর মটুয়া এবং আণ্ডারচর।

 

বেগমগঞ্জ

৪২৬.০৫

বেগমগঞ্জ

পৌরসভা (১টি): চৌমুহনী

 

ইউনিয়ন (১৬টি): আমানউল্যাপুর, গোপালপুর, জিরতলী, আলাইয়ারপুর, ছয়ানী, রাজগঞ্জ, একলাশপুর, বেগমগঞ্জ, মিরওয়ারিশপুর, নরোত্তমপুর, দুর্গাপুর, কুতুবপুর, রসুলপুর, হাজীপুর, শরীফপুর এবং কাদিরপুর।

 

সুবর্ণচর

৩২৯.২৬

সুবর্ণচর

ইউনিয়ন (৮টি): চর জব্বর, চর বাটা, চর ক্লার্ক, চর ওয়াপদা, চরজুবলী, চর আমানউল্যা, পূর্ব চর বাটা এবং মোহাম্মদপুর।

 

সেনবাগ

১৫৫.৮৩

সেনবাগ

পৌরসভা (১টি): সেনবাগ

 

ইউনিয়ন (৯টি): ছাতারপাইয়া, কেশারপাড়, ডুমুরুয়া, কাদরা, অর্জুনতলা, কাবিলপুর, মোহাম্মদপুর, বিজবাগ এবং নবীপুর।

 

সোনাইমুড়ি

১৭০.৪২

সোনাইমুড়ি

পৌরসভা (১টি): সোনাইমুড়ি

 

ইউনিয়ন (১০টি): জয়াগ, নদনা, চাষীরহাট, বারগাঁও, অম্বরনগর, নাটেশ্বর, বজরা, সোনাপুর, দেওটি এবং আমিশাপাড়া।

 

হাতিয়া

১৫০৮.২৩

হাতিয়া

পৌরসভা (১টি): হাতিয়া

 

ইউনিয়ন (১১টি): হরণী, চানন্দী, সুখচর, নলচিরা, চর ঈশ্বর (ভাসানচর ব্যতীত), চরকিং, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, বুড়িরচর, জাহাজমারা এবং নিঝুমদ্বীপ।

 

ভাসানচর

ইউনিয়ন (১টির অংশ): চর ঈশ্বর ইউনিয়ন এর ভাসানচর

 

 

৩.২)        সংসদীয় আসন:

সংসদীয় আসন

জাতীয় নির্বাচনী এলাকা

সংসদ সদস্য

রাজনৈতিক দল

২৬৮ নোয়াখালী-১

চাটখিল উপজেলা এবং সোনাইমুড়ি উপজেলা (বারগাঁও, অম্বরনগর ও নাটেশ্বর ইউনিয়ন ব্যতীত)

জনাব এইচ এম ইব্রাহিম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

২৬৯ নোয়াখালী-২

সোনাইমুড়ি উপজেলার বারগাঁও, অম্বরনগর ও নাটেশ্বর ইউনিয়ন এবং সেনবাগ উপজেলা

জনাব মোরশেদ আলম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

২৭০ নোয়াখালী-৩

বেগমগঞ্জ উপজেলা

জনাব মামুনুর রশীদ কিরন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

২৭১ নোয়াখালী-৪

নোয়াখালী সদর উপজেলা এবং সুবর্ণচর উপজেলা

জনাব মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

২৭২ নোয়াখালী-৫

কবিরহাট উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা

জনাব ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

২৭৩ নোয়াখালী-৬

হাতিয়া উপজেলা

জনাব আয়েশা ফেরদাউস

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

 

৩.১) প্রশাসনিক কাঠামো (সংক্ষিপ্ত):

নোয়াখালী জেলার সৃষ্টি

:

১৮২১ খ্রি:

ভৌগলিক অবস্থান

:

২২০ ০৬/ থেকে ২২০ ১৭/ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০০ ৩৮/ থেকে ৯১০ ৩৫/ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ

আয়তন

:

৪২০২.৭০ বর্গকিমি

জনসংখ্যা

:

৩৩,৭০,২৫১ জন

জনসংখ্যার ঘনত্ব

:

৮০১.৯৩ জন প্রতি বর্গ কিমি

মোট পরিবার

:

৫,০৪,৫৫২ টি

সংসদীয় আসন সংখ্যা

:

০৬ টি

উপজেলা

:

০৯ টি

ভোটার সংখ্যা মোট

:

১৬,৩২,৭৬১ জন (পুরুষ: ৭,৭৯,৯০৭ জন, মহিলা: ৮,৫২,৮৫৪ জন)

পুলিশ থানা

:

০৯ টি ; তদন্ত কেন্দ্র -০২ টি, ফাঁড়ি- ০৮ টি

ইউনিয়ন

:

৯১ টি

গ্রাম

:

৭৮৬ টি

মৌজা

:

৯৪৬ টি

ইউনিয়ন ভূমি অফিস

:

৬৫ টি

পৌরসভা

:

০৮ টি (বসুরহাট, কবিরহাট, সেনবাগ, চৌমুহনী, নোয়াখালী, চাটখিল, সোনাইমুড়ী, হাতিয়া)

শিক্ষার হার

:

৬৯.৫০%

 

৪.  জনসংখ্যা:

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নোয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৩,৭০,২৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬,১০,৪৪৪ জন এবং মহিলা ১৭,৫৯,৮০৭ জন। পুরুষ এবং মহিলার অনুপাত ৯২ : ১০০। এখানে বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৪৩ জন এবং জন্মহার ১.৮৩%। প্রধান শহর মাইজদীর জনসংখ্যা ৭৪,৫৮৫ জন; যার মধ্যে পুরুষ ৫১.৫০% ও মহিলা ৪৮.৫০%। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৫৯১৫/ বর্গ কিলোমিটার। ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৫.৪২% মুসলিম, ৪.৫২% হিন্দু এবং ০.০৬% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।

 

৫. শিক্ষা ব্যবস্থা:

বিশ্ববিদ্যালয়

:

০১ টি; পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)

মেডিক্যাল কলেজ

:

০১ টি; (নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল সরকারি মেডিক্যাল কলেজ)

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

:

০১ টি

পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার

:

০১ টি

মহাবিদ্যালয়

:

৩৫টি সরকারি-০৮টি বেসরকারি-২৭টি

মাধ্যমিক বিদ্যালয়

:

২৮৭টি সরকারি-১২টি বেসরকারি-২৭৫টি

প্রাথমিক বিদ্যালয়

:

১২৪৩টি সরকারি-৭৭৬টি বেসরকারি-৩২৯টি

   

স্যাটেলাইট-৬২ টি কমিউনিটি- ৭৬ টি

মাদ্রাসা

:

১৬১টি সিনিয়র-৩০ টি দাখিল ও আলিম -১৩১ টি

কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

:

০২ টি টি টি কলেজ-০১ টি আইন কলেজ-০১ টি

কারিগরি প্রতিষ্ঠান

:

০৫ টি (যুব প্রশিক্ষণ ০২টি, পিটিআই-০১টি, টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ -০২টি)

 

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ হলো:

নোয়াখালী সরকারি কলেজ

নোয়াখালী জিলা স্কুল

নোয়াখালী সরকারী মহিলা কলেজ

নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

নোয়াখালী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

 

৬. স্বাস্থ্য ব্যবস্থা:

জেনারেল হাসপাতাল

:

০১ টি

মেডিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার

:

০১ টি

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

:

০৭ টি

স্কুল হেলথ ক্লিনিক

:

০২ টি

টিবি ক্লিনিক

:

০১ টি

ইলেকট্রো-মেডিক্যাল ওয়ার্কসপ

:

০১ টি

সেবা ইনস্টিটিউট

:

০১ টি

উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র

:

৩১ টি

 

৭.  অর্থনীতি:

নোয়াখালী জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। আঞ্চলিক জিডিপির প্রায় ৪০% কৃষি খাত থেকে আসে এবং জেলার ৮০ ভাগ লোক এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট। কৃষির মধ্যে মূলত মৎস্য চাষ ও মৎস্য আহরণের সাথে সবচেয়ে বেশি মানুষ জড়িত। বছর জুড়ে নৌকা তৈরি ও মেরামত, মাছ ধরা, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, শুটকি উৎপাদন, জাল মেরামত এর সাথে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ শ্রমজীবী জড়িত থাকে। নিম্নভূমি অঞ্চল হওয়াতে এই জেলায় প্রচুর মৎস্য চাষ হয়ে থাকে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা পালন করে। ফসল উৎপাদন মূলত বছরে একবারই হয়। শীত মৌসুমে জেলার সর্বত্র বিশেষ করে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে রকমারি ফসলের চাষ হয়। এছাড়াও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ও দ্বীপগুলোতে গরু, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া পালন ব্যাপকতা লাভ করেছে।

নোয়াখালী জেলায় শিল্প কারখানা তেমনভাবে গড়ে উঠেনি, কিন্তু নোয়াখালী জেলার অনেক ব্যক্তি দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছেন। নোয়াখালীর মানুষ মূলত কাজের জন্য দেশে এবং বিদেশে ব্যাপকভাবে গমন করেন। জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স পাঠানো জেলাগুলোর মধ্যে নোয়াখালী জেলা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে।

জেলার মোট আয়ের অন্যান্য খাতে আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে অ-কৃষি শ্রম ৩.৪৩%, শিল্প ০.৮৪%, বাণিজ্য ১৪.৭৪%, পরিবহন খাত ৩.৮৩%, চাকুরি ১৬.১১%, নির্মাণখাত ১.৪৯%, রেমিট্যান্স ৭.৯৭% এবং অন্যান্য ১০.৫৮% অবদান রাখছে।

 

৮.  যোগাযোগ ব্যবস্থা:

নোয়াখালী জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম-নোয়াখালী মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া এ জেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে।

 

৯.  ধর্মীয় উপাসনালয়:

নোয়াখালী জেলায় ৪১৫৯টি মসজিদ, ৪৯৭টি ঈদগাহ, ২৩৯টি মন্দির, ২টি বিহার এবং ১টি ক্যাথলিক খ্রিস্টান গির্জা রয়েছে।

 

১০. জলবায়ু ও প্রকৃতি:

বছরব্যাপী সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় ৩৪.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ১৪.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বছরে গড় বৃষ্টিপাত ৩৩০২ মিলিমিটার।

 

১১. নদ-নদী:

নোয়াখালী জেলার প্রধান নদী মেঘনা। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য নদীর মধ্যে ডাকাতিয়া ও ছোট ফেনী নদী অন্যতম।

 

১২. প্রাকৃতিক দুর্যোগ:

১৭৯০ সালের পর থেকে নোয়াখালী জেলা বহুবার ঘুর্ণিঝড়, বন্যা, টর্নেডো, সাইক্লোন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয়। ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটে, যার মধ্যে নোয়াখালী জেলার অনেকে ছিলেন।

 

১৩.     দর্শনীয় স্থান:

নিঝুম দ্বীপ

মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং দীঘি

নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান

শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম

বজরা শাহী মসজিদ

পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, নোয়াখালী

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, সোনাইমুড়ি

নোয়াখালী পাবলিক লাইব্রেরী, মাইজদী

গান্ধি আশ্রম

ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, চর জব্বর

মহাত্মা গান্ধী জাদুঘর

ঠাকুর রামচন্দ্র দেবের সমাধি আশ্রম,চৌমুহনী

মুছাপুর ক্লোজার

কল্যান্দি জমিদার বাড়ি

চেয়ারম্যানঘাট

কল্যান্দী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির

স্বর্ণ দ্বীপ

এয়াকুব আলী ব্যাপারী জামে মসজিদ, সোনাপুর

কমলা রাণীর দীঘি

রমজান মিয়া জামে মসজিদ

নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ

ফকির ছাড়ু মিজি (রহ.) সাহেবের দরগাহ, মাইজদী

 

১৪. কৃতি ব্যক্তিত্ব:

মোহাম্মদ রুহুল আমিন –– বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এ টি এম শামসুজ্জামান –– অভিনেতা।

মুনীর চৌধুরী –– শহীদ বুদ্ধিজীবী।

ফেরদৌসী মজুমদার –– টিভি অভিনেত্রী।

জহুরুল হক –– আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম শহীদ।

মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী –– চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা।

আবদুল মালেক উকিল –– আইনজীবি এবং রাজনীতিবিদ।

শবনম  বুবলি –– চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

ওবায়দুল কাদের –– রাজনীতিবিদ।

আবদুল হাকিম –– মধ্যযুগীয় কবি।

শিরীন শারমিন চৌধুরী –– দেশের প্রথম নারী স্পিকার।

চিত্তরঞ্জন সাহা –– প্রকাশক এবং বাংলা একাডেমী বই মেলার উদ্যোক্তা।

কবীর চৌধুরী –– শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক এবং অনুবাদক।

প্রণব ভট্ট –– গীতিকার এবং ঔপন্যাসিক।

মোতাহের হোসেন চৌধুরী –– শিক্ষাবিদ এবং লেখক।

মাহফুজ উল্লাহ –– লেখক, সাংবাদিক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং পরিবেশবিদ।

ফারাহ মাহবুব –– বিচারপতি।

এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী –– স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত চিকিৎসক।

বদরুল হায়দার চৌধুরী –– আইনবিদ এবং প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।

তবারক হুসাইন –– কূটনীতিবিদ।

আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক –– প্রাক্তন সেনাপ্রধান।

সিরাজুর রহমান –– ব্রিটিশ সাংবাদিক।

মঈন উদ্দিন আহমেদ –– প্রাক্তন সেনাপ্রধান।

হেমপ্রভা মজুমদার –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব।

শাহাদাত হোসেন চৌধুরী –– অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার।

আনিসুল হক –– রাজনীতিবিদ।

সা’দত হুসেন –– বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আর্জুমান্দ বানু –– রাজনীতিবিদ।

কামরুল আহসান –– বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।। সরকারের একজন সচিব। পূর্বে কানাডা ও সিংগাপুরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

আয়েশা ফেরদাউস –– রাজনীতিবিদ।

মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী –– শহীদ বুদ্ধিজীবী।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ।

মোহাম্মদ শরীফ –– বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এইচ এম ইব্রাহিম –– রাজনীতিবিদ।

মোহাম্মদ আবুল বাশার –– বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

মামুনুর রশীদ কিরন –– রাজনীতিবিদ।

আবুল কালাম আজাদ –– বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

মাহবুবুর রহমান –– রাজনীতিবিদ।

এ এস এম শাহজাহান –– প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা।

মোরশেদ আলম –– রাজনীতিবিদ।

আতাউর রহমান –– টিভি অভিনেতা।

সিরাজুল আলম খান –– রাজনীতিবিদ।

 

১৫. বিবিধ:

জমির পরিমাণ

:

৭,৬৫,১২৯ একর (কৃষি-৪,৯৮,৫৮১ একর, অকৃষি-২,৬৬,৫৪৮ একর)

কর্মরত এনজিও

:

৫০ টি

বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত

:

২৭০ ইঞ্চি

উপকূলীয় এলাকা

:

৫০ কিমি

উপকূলীয় বাঁধ

:

৩৪৬.৯৮ কিমি

সাইক্লোন সেল্টার

:

২১০ টি পশুর কিল্লা - ৩৭টি

উপকূলীয় বন

:

১১,১৮,৮৯৯.৩৬ হেক্টর

এতিম খানা

:

৬৩ টি গ্রোথ সেন্টার - ৩০টি

টিউবওয়েল সংখ্যা

:

১,২১,৭৮৩ টি

ব্যাংক শাখা

:

১৩৫ টি

হাট/বাজার

:

২৩৮ টি

দর্শনীয় স্থান

:

১। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর

২। চরবাটা স্টীমার ঘাট, নোয়াখালী।

৩। জেলা জামে মসজিদ

৪। বজরা শাহী জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জ।

৫। গান্ধী আশ্রম, সোনাইমুড়ী

৬। নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া।

৭। গাংচিল স্লুইস, কোম্পানীগঞ্জ

৮। রামনারায়নপুর মিয়া বাড়ী

৯। ক্যাথলিক গীর্জা, নোয়াখালী সদর।

 

 

প্রধান প্রধান কৃষিজাত ফসলঃ

ধান, খেসারি, ইক্ষু, মুগ, আলু, মরিচ, সয়াবিন, চিনাবাদাম, তরমুজ, শাকসবজি ও বিভিন্ন ধরনের ডাল।

বিলুপত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলঃ

তিল, তিসি, পাট, সহানীয় জাতের ধান, মুগ ডাল ইত্যাদি।

প্রধান ফল-ফলাদিঃ

আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, নারিকেল, পেঁপে, তাল, সুপারি ইত্যাদি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্ত প্রায় সনাতন বাহনঃ

পাল্কি, ঘোড়া, গরত ও মহিষের গাড়ি। প্রধান রপ্তানি দ্রব্যঃ নারিকেল, সুপারি, ধান, হুগলি পাতার মাদুর, শুটঁকি মাছ।